বাংলাদেশ ডেস্ক
⚡১ মিনিটে পড়ুন
আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টা ও দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা যে ভয়াবহ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন, তা দেখে সবাই স্তম্ভিত, হতবাক ও বাকরুদ্ধ। তাদের পরিদর্শন শেষ হওয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আয়নাঘরের ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া এসব ছবি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। নেটিজেনরা বলছেন, হাসিনার সহযোগীরা প্রশাসনের ভেতরে থেকে আয়নাঘরের আসল চিত্রকে বিকৃত করে ফেলেছে।
আয়নাঘরের মাঝের দেয়ালগুলো এখন আর নেই। দেয়ালে লেখা বন্দিদের আত্মচিৎকারের গল্পগুলোও মুছে ফেলা হয়েছে। নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন জাগছে, এসব কিছুই বা গেল কোথায়? গোপন সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আয়নাঘর পরিদর্শন এবং বিশ্বজুড়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নৃশংসতা প্রকাশ পাক, তা মোটেই চায়নি প্রশাসনে এখনও রয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের অনুগতরা।
আরও পড়ুন: নেতাকর্মীদের না জানিয়ে শেখ হাসিনার ভারত চলে যাওয়া বিশ্বাসঘাতকতা: আওয়ামী সিনিয়র নেতা
ফেসবুকে তাহমিনা সুপ্তি নামে একজন লিখেছেন, "আয়নাঘর কতটা ভয়ঙ্কর ছিল, তা এখনও ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। যদি দেয়ালগুলো ভাঙা না হতো, তাহলে এর ভয়াবহতা আরও কতটা প্রকট হতো, তা ভেবেই আমি আতঙ্কিত হচ্ছি।" অন্যদিকে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়ায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের প্রশংসায় ভাসছেন নেটিজেনরা। তাদের মতে, সেনাপ্রধানের সহায়তায়ই এই পরিদর্শন সম্ভব হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, ইলেকট্রিক শক দেওয়ার জন্য একটি চেয়ার রাখা হয়েছে। এই চেয়ারকে কেন্দ্র করে হাসিনার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। অন্যদিকে, ২৪-এর ছাত্র আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মহমুদ এবং নাহিদ ইসলামকেও এই আয়নাঘরেই বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে তারা জানিয়েছেন।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে আয়নাঘর তৈরি করেছিল। তার বিরুদ্ধে যারা কণ্ঠ তুলত, তাদেরকেই এখানে এনে নির্যাতন চালানো হতো। হত্যা, গুমের মতো নৃশংস ঘটনাও ঘটানো হতো এই স্থানে। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার তৈরি আয়নাঘর পরিদর্শন এবং সেখানে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতদের নির্যাতনের গল্প শোনা নিঃসন্দেহে একটি বিরল ঘটনা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমনই একটি নজির তৈরি করেছেন। তিনি সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, মুখোশের আড়ালে স্বৈরাচারী হাসিনা কতটা নির্মম ও ভয়ানক ছিলেন।
%20(2).png)