![]() |
লাইফস্টাইল
⚡২ মিনিটে পড়ুন
খাওয়ার প্রতি অনীহা, মুখে কিছু দিতে ভালো না লাগা বা খাবারে অরুচি—এসব আমরা আশেপাশের অনেকের মুখেই শুনি। কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ওজন কমানোর জন্য দিনের কোনো একটি খাবার এড়িয়ে যান।
আবার কেউ কেউ দেরিতে ঘুম থেকে উঠে বা তাড়াহুড়োর কারণে সকালের নাশতা না করেই বাইরে বেরিয়ে পড়েন। ফলে দীর্ঘ সময় তারা না খেয়ে থাকেন। কিন্তু তারা জানেন না যে এই অভ্যাস শরীরের নানা সমস্যার পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার ওপরও প্রভাব ফেলে।
মস্তিষ্কের জন্য শক্তির প্রধান উৎস হলো গ্লুকোজ। যখন আমরা কোনো একটি বেলার খাবার বাদ দিই বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকি, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। এর প্রভাব মনোযোগে ঘাটতি, ভুলে যাওয়া, মুড সুইং বা মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন হিসেবে প্রকাশ পায়।
দীর্ঘ সময় এই ঘাটতি থাকলে কর্টিসলসহ স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিরক্তি দেখা দিতে পারে। চরম অবস্থায় মস্তিষ্ক গ্লুকোজের পরিবর্তে কিটোন ব্যবহার শুরু করে, যা মেন্টাল ফগিনেস বা মস্তিষ্কের ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। এতে মানসিক দক্ষতা কমে যায়, পরিষ্কারভাবে চিন্তা করা কঠিন হয়, এবং স্নায়ুবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।
অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম করার আরেকটি কারণ হলো লো ব্লাড সুগার। রক্তে গ্লুকোজের ঘাটতি কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এ সময় মস্তিষ্কের রক্তনালী সংকুচিত-প্রসারিত হতে থাকে, যার ফলে মাথাব্যথা বা অস্বস্তি দেখা দেয়। শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে এ সমস্যা আরও বাড়ে।
তবে আজকাল অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। প্রশ্ন ওঠে, তারা কীভাবে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকেন? মূলত এটি ব্যক্তিভেদে নির্ভর করে। তবে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এই সময়সীমা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়ে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সময়মতো খেতে হবে এবং প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেটসহ সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
