১ মিনিটে পড়ুন
৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার দিকে, ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে এই জেলার এক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এক ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বিএনপির তথ্য অনুসারে, দাগনভূঞা উপজেলার বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে গত দেড় মাস ধরে সংঘর্ষের আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই, উপজেলা আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ চলছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের আঘাত থেকে জন্ম নেওয়া মানসিক যন্ত্রণা: কীভাবে মোকাবিলা করবেন?
রোববার, আকবর হোসেনের সমর্থক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ একটি মিছিলের আয়োজন করেন, তবে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুরাগীরা তা থামানোর চেষ্টা করে। এর ফলস্বরূপ উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে ধাওয়া-পাল্টা, ইট-পাথরের বিক্ষেপ ও হুটোপুটি দেখা দেয়। পাকিস্তান বাজার থেকে শুরু হয়ে, সংঘর্ষটি দাগনভূঞা বাজার এবং পরবর্তীতে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এক পর্যায়ে, কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষকে আরও জটিল করে তোলেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের মতে, সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল চালু করেছিলেন। এতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হঠাৎ করে হামলা চালায় এবং পরে জাবেদের বাসস্থানে আক্রমণ করে। এই মারামারিতে ছাত্রদলের নেতা রাজিব, মানিক, জাবেদসহ আনুমানিক ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: ‘স্যার’ সম্বোধন না করার কারণে এসপির যা ঘটনা ঘটালেন
জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক জানান, দাগনভূঞা উপজেলার বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটিকে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য জেলা বিএনপির কাছ থেকে পূর্বে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বারবার সেই নির্দেশনাকে অবহেলা করছে। আজ আবার, যখন উপজেলা আহ্বায়ক আকবর হোসেনের সমর্থকরা ছাত্রদলের ব্যানারে একটি মিছিল বের করেন, পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বাজারে তাদের পথ আটকায়। এরপর তাদের দলের সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ গুলি, ইট-পাথর নিক্ষেপ ও আক্রমণ চালিয়ে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, দাগনভূঞা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনাস্থলে ইতোমধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতাবেক পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
.jpg)