ভারতের রাজস্থানের কোটাতে এক চমকপ্রদ ঘটনায়, মণীশ মীনা নামে এক যুবক নিজে চাকরিতে যুক্ত না থাকলেও, স্ত্রীকে মর্যাদাপূর্ণ সরকারী চাকরি নিশ্চিত করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই লক্ষ্যে তিনি নিজের কৃষিজমি বন্ধক রেখে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু ঘুষের টাকা হাতে আসতেই, স্বামীকে 'বেকার' বলে বিবেচনা করে তাঁর স্ত্রী আশা বিচ্ছেদ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন।
এবার, এবিপি লাইভ-এর এক সংবাদে জানা যায়, মণীশ স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ‘প্রতিশোধ’ নিতে গিয়ে রেলের নিয়োগ পরীক্ষার এক ব্যাপক কেলেঙ্কারির উন্মোচন করেন। এই ঘটনায় শুধুমাত্র তাঁর স্ত্রী আশাই নয়, বরং রেলের একজন গার্ডও বরখাস্ত হওয়ার শিকার হন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ছাত্রদলের সদস্যদের মধ্যে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার দ্বন্দ্বে রক্তক্ষরণ, ১৫ জন গুরুতর আহত
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের নিকট দায়ের করা অভিযোগে মণীশ ব্যাখ্যা করেন, যদিও তিনি নিজে কোনো চাকরি করেননি, তবু নিজের স্ত্রীকে একটি ভালো সরকারী চাকরি পাওয়ার জন্য প্রায় আট মাস আগে রেলের পরীক্ষা কালে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীর সাহায্য নিতে বাধ্য হন। এ জন্যই তিনি চাষের জমি বন্ধক রাখেন এবং ১৫ লাখ রুপি সংগ্রহ করে রাজেন্দ্র নামে এক রেলকর্মীর মাধ্যমে ওই পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ করানোর ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই, আশা তাঁর স্বামীর সাথে অসম্মানজনক আচরণ চালিয়ে যান। অবশেষে, মণীশকে 'বেকার' বলে দোষারোপ করে আশাই তাঁকে ছেড়ে চলে যান। নিজেদের আর্থিক বিনাশের অভিযোগে, মণীশ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের ধারণা, এই ঘটনার পেছনে শুধুমাত্র আশাই দায়ী নন; রেলের নিয়োগ পরীক্ষায় আরও অনেকেই ভুয়া প্রার্থী ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন থাকতে পারে। এ সন্দেহে ব্যাপক তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
নিউজ সোর্স: ইত্তেফাক
.png)