Type Here to Get Search Results !

আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার ৫ উপায়

alllah quran




পরকালীন শাস্তি থেকে মুক্তির ৫টি পথ 

আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন ঈমান ও আমলের পরীক্ষার জন্য। দুনিয়ার প্রতিটি কাজের হিসাব-নিকাশ পরকালে অনিবার্য। চূড়ান্ত মুক্তির একমাত্র পথ হলো তাঁর নির্দেশিত পথে আত্মসমর্পণ। এখানে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে শাস্তি এড়ানোর ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উপায় উপস্থাপন করা হলো—



১. খাঁটি তওবা: আত্মশুদ্ধির প্রথম সিঁড়ি

হজরত ইউনুস (আ.)-এর সম্প্রদায়ের ঘটনায় প্রতীয়মান হয়, তওবা ও ঈমানের মাধ্যমে আল্লাহর গজব প্রতিহত করা সম্ভব। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,  

ইউনুসের সম্প্রদায়ই কেবল ইমান এনে কল্যাণ লাভ করেছিল। আমি তাদের পার্থিব জীবনের লাঞ্ছনা দূর করলাম এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুযোগ দিলাম।” (সুরা ইউনুস: ৯৮)।  

মুমিনের জন্য নিয়মিত তওবা হৃদয়ের কালিমা দূর করে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য বাড়ায়।




২. ইসতিগফার: ক্ষমা প্রার্থনার শক্তি

ক্ষমা চাওয়া আল্লাহর রহমত টেনে আনার অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে,  

“আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না, যতক্ষণ আপনি (নবী) তাদের মধ্যে অবস্থান করছেন কিংবা তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।” (সুরা আনফাল: ৩৩)।  

নিয়মিত ইসতিগফার অভাবনীয় বিপদ থেকে রক্ষা করে এবং রিজিকে বরকত আনে।




৩. সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ: সমাজের দায়িত্ব  

সামষ্টিক কল্যাণের জন্য সত্যের প্রচার অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন,  


“তোমাদের মধ্যে এমন এক দল থাকুক, যারা সৎকাজের ডাক দেবে, ন্যায়ের নির্দেশ দেবে আর অন্যায় থেকে বিরত রাখবে। এরাই প্রকৃত সফল।” (সুরা আলে ইমরান: ১০৪)।  

সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অশ্লীলতা রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালনই ঈমানের দাবি।



৪. গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা: প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য পাপ পরিহার 

লুত (আ.)-এর সম্প্রদায় প্রকাশ্যে অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়ায় মহাশাস্তির শিকার হয়েছিল। আল্লাহ সতর্ক করেন,  

“তোমরা কি প্রকাশ্যে অশীলাচারে মত্ত হবে, অথচ তোমাদের পূর্ববর্তীরা এ কারণে ধ্বংস হয়েছে?” (সুরা আনকাবুত: ২৯)।  

গোপন পাপও শাস্তির কারণ হতে পারে; তাই সর্বাবস্থায় হারাম থেকে দূরে থাকা জরুরি।



৫. দান-সদকা: সম্পদের পরিশুদ্ধি  

কোরআনে বর্ণিত ‘বাগানওয়ালাদের’ ঘটনায় শিক্ষা: তারা গরিবদের অধিকার বঞ্চনা করায় তাদের সম্পদ ধ্বংস হয়। ইরশাদ হয়েছে,  

“তোমরা সদকা করলে তা আল্লাহর কাছে উত্তম, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।” (সুরা তওবা: ১০৩)।  

দান শাস্তি মোচন করে, বিপদ রোধ করে এবং সম্পদে বরকত বৃদ্ধি করে।  



উপসংহার:

ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য উল্লিখিত পন্থাগুলো কোরআন-হাদিসে স্বীকৃত। নিয়তের খাঁটিয়ার সাথে আমল করলে আল্লাহর রহমত অবধারিত। 




নিউজ সোর্স: Ajker Patrika

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.