|আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১ মিনিটে পড়ুন
ভারত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার সাঁকরাইলে এক চমকপ্রদ ঘটনার সূত্রপাত হয়, যেখানে এক পরিবারের অভ্যন্তরে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনা সমর্থিত। খবর অনুযায়ী, ১৬ বছর বয়সী পিন্টু বেজ তার স্ত্রী সুপর্ণ বেজের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
মামলার রিপোর্টে জানা যায়, পিন্টু ও সুপর্ণের ১২ বছরের মেয়ে সন্তানও আছেন। বিবাহিত জীবনে চলমান অশান্তির মুখোমুখি হয়ে, সুপর্ণ একসময় পরিবারের আর্থিক সমস্যার সমাধানে পিন্টুকে তার এক অঙ্গ—কিডনি—বিক্রি করার পরামর্শ দেন। ১০ লাখ রুপির বিনিময়ে কিডনি বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেন পিন্টু, যার আশা ছিল মেয়ের শিক্ষাব্যয় ও বিয়ের খরচ মেটানো যাবে।
আরও পড়ুন: এক মুসলিম দেশ নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
কিন্তু পরিস্থিতি তেমন না। কিডনি বিক্রির পর, ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে থাকা একজন ব্যক্তির সাথে ১০ লাখ রুপির লেনদেন করে সুপর্ণ নিজেই পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দুঃখিত পিন্টু অবশেষে পুলিশের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরিবারসহ শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১০ বছর বয়সী মেয়েটিও তার সঙ্গে উপস্থিত হন, তবে কোন সমাধান টল না। বরং, সুপর্ণ উল্টো পিন্টুকে ডিভোর্সের হুমকি দেন, বলে ওঠেন, "যা পারো, করো!"
তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, পিন্টুর স্ত্রী আগেই লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে চলে গেছেন এবং বর্তমানে তার প্রেমিকের সাথে থাকা শুরু করেছেন। এ ঘটনায় পিন্টু মানসিক ও আর্থিক দুটোই দিক থেকেই সংকটের মুখে পড়েছেন।
