Type Here to Get Search Results !

ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয় সেই কিশোরীর নিথর দেহ।

ছবি সংগৃহী


ঢাকার মহাখালী এলাকায় এক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে প্রতারণার মাধ্যমে একটি আবাসিকে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার করা হয়। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) হাতিরঝিলের পানিতে ভাসতে থাকা তার মৃতদেহ উদ্ধার করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) একটি সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে।



উত্তরা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ওই ব্রিফিংয়ে জানান, পাঁচ সদস্যের এক দল কিশোরীর হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় আটকে দিয়ে গণধর্ষণ চালায়। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় একটি বস্তায় ভরে রাতের আঁধারে রিকশাযোগে হাতিরঝিলে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের জেরার সময় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা স্বীকার করা হয়েছে।


ডিসি রওনক জাহান উল্লেখ করেন, নিহত কিশোরীর মোবাইল ফোনের ডেটা বিশ্লেষণ করে ৩০ জানুয়ারি রবিন মৃধা ও রাব্বি মৃধা নামে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার হাতিরঝিল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বাকি তিন আটকবিহীন আসামিকে দ্রুত আইনের নাগালে আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।



এছাড়া, আদালতে ১৬৪ ধারায় রবিন ও রাব্বির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, ধর্ষণ শেষে কিশোরীটি জ্ঞান হারালে আত্মগোপন করতে তাকে জলাশয়ে নিক্ষেপ করে অপরাধীরা। ফরেনসিক পরীক্ষা ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্যান্য আসামিদের শনাক্তের কাজ চলছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.