এর আগে, একই দিনে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালত সময়ের আবেদন নাকচ করে চার্জশিট গঠন করার আদেশ দেন।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। সেই মামলায় আইনজীবী সোহেল পরীমণির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
পরোয়ানা জারি হলে, পরীমণির পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে সময়ের আবেদন করেন। তবে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে চার্জশিট গঠনের নির্দেশ দেন এবং আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিম ক্লাবে অ্যালকোহল পান করেন এবং বিল না মেটানোর অভিযোগ রয়েছে। বিল দাবি করা হলে পরীমণি পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে পরীমণি তার সহযোগীদের নিয়ে বোট ক্লাবে প্রবেশ করেন। সে সময় ক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ক্লাব ত্যাগ করছিলেন।
পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসির ও আলমকে ডাকেন এবং কিছু সময় তাদের সঙ্গে বসার অনুরোধ করেন। পরে পরীমণি অশোভন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন এবং বিনামূল্যে ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন।
নাসির রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে সার্ভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথা ও বুকে আঘাত পান।
পরীমণি পরবর্তীতে ১৪ জুন সাভার থানায় নাসির উদ্দিন ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। তবে পুলিশের তদন্তে ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।