ছবি: সংগৃহীত
রমজান মাসে ইফতারে শরবত তৈরিতে লেবুর ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে, তাই এই সময়ে লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এই চাহিদার সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী এবারের রমজানে লেবুর দাম এক লাফে সেঞ্চুরি পার করে দিয়েছে। লেবুর দাম বেড়ানোর সাথে সাথে কলার দামও বেড়েছে।
তবে এবারের বাজার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত সপ্তাহে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও তা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। গেল বছরের রমজানে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, যা এখন ২১০ থেকে ২২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। এবারের রমজানে পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, যা বর্তমানে ৪৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
রমজান এলেই সাধারণত বেগুনের দাম বেড়ে যায়, তবে এবারের দাম কম থাকায় তেমন কোনো আলোচনা নেই। কাঁচা মরিচের দামও প্রতিবছরের মতো বেড়ে যায়, তবে এবার ২০২৪ সালে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ বর্তমানে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বরাবরের মতো ভোজ্য তেলের দাম নিয়ে সমালোচনার সুর রয়েছে। যদিও সরকার পরিবর্তনের পর কিছু পণ্যের দাম কমেছে, তবে সয়াবিন তেলের বাজারে এখনো আগের মত অবস্থা বিরাজ করছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকায়, যা নিয়ে ক্রেতারা অসন্তুষ্ট।
তবে ২০২৪ সালের প্রথম রমজানে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ভোক্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা শুধু সরকারের নিয়ন্ত্রণের অপেক্ষায় আছেন। ইসলামের বিধান মেনে ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মের শুদ্ধতার দিকে মনোযোগ দেবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
%20(1).png)