Type Here to Get Search Results !

ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

 

ছবি: সংগৃহীত



নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেড এলাকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, এলোপাতাড়ি গুলি, মোটরসাইকেল ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের গ্রুপের সঙ্গে আরেক পক্ষের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ, নারায়ণগঞ্জ খানপুর ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আহতদের মধ্যে আছেন সাগর গ্রুপের নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোহন, মানিক, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ, সদস্য মাহবুব, সবুজ, শহীদসহ ১০-১২ জন। অপরদিকে, মনির গ্রুপের আহতদের মধ্যে আছেন আল আমিন, ইকবাল, রবিউল, হাবিব, আরমান, রাসেল, সাকিল, জনি, রতন, ফাহিমসহ ১৪-১৫ জন।


জানা গেছে, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েকদিন ধরে সাবেক ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমান সাগর ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মনির হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের ভেতরে সাগর গ্রুপের মোহনকে মারধর করে মনির গ্রুপের লোকজন, যা সংঘর্ষের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


পরে বিকেলে মনির গ্রুপের লোকজন আদমজী ভূঁইয়া মার্কেটে এবং সাগর গ্রুপের লোকজন কদমতলী কবরস্থান এলাকায় জমায়েত হয়। দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রায় ২০০-২৫০ জন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।


সংঘর্ষের খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় এক অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। এছাড়া, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ও রিপোর্টার্স ক্লাবের অর্থ সম্পাদক জাকির হোসেনের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে কারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, "আমি বৈধভাবে ইপিজেডে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের কিছু লোকজনের সহায়তায় মনির হোসেন আমার ব্যবসা দখল করার চেষ্টা করছে। এ কারণেই তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।"


অন্যদিকে, বিএনপি নেতা মনির হোসেন বলেন, "গত ৫ আগস্টের পর থেকেই সাগর পুরো ইপিজেডে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। অন্য কাউকে ব্যবসা করতে দিচ্ছে না। দুপুরে আমার লোকজন সেখানে গেলে সাগরের বাহিনী হামলা করে। পরে বিকেলে আবারও আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে, আমাদের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং দোকান ভাঙচুর করে।"


এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর আলম জানান, "ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।"


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.