.png)
আলেপ উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
একজন আসামিকে আটক করার পর তার স্ত্রীকে হুমকি দেওয়া হয় যে, তার স্বামীকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে। তবে যদি সে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে সম্মত হয়, তাহলে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। এমন অভিযোগ উঠেছে, যেখানে র্যাবের তৎকালীন কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন এক আসামির রোজাদার স্ত্রীকে এই ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে ঢাকার ২৫টি স্থানে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে মাছ ও মাংস।
আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, একজন গুম হওয়া স্বামীর বর্ণনা অনুযায়ী, পবিত্র শবেকদরের রাতে তার স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, এর আগেও অন্তত তিনবার তাকে একই কৌশলে ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। শেষবার ধর্ষণের পর তার স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত আলেপ নামের এই কর্মকর্তা র্যাবের একজন উচ্চপদস্থ সদস্য ছিলেন। যখন ওই স্বামী তার স্ত্রীর জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে বারবার ফোন করছিলেন, তখন আলেপ উত্তর দেন যে, বন্দিদের স্ত্রীদের প্রতি এমন আচরণ অলিখিতভাবে স্বীকৃত।
পোস্টে প্রশ্ন তোলা হয়— একজন মানুষ কতটা নির্মম হলে অন্যের স্ত্রীকে এভাবে ব্যবহার করতে পারে, যেখানে তার নিজেরও মা, স্ত্রী কিংবা মেয়ে রয়েছে? আলেপের মতো ব্যক্তির বিচারের আওতায় আসা সবচেয়ে জরুরি।
এ বিষয়ে আলজাজিরার আরেক সাংবাদিক, জুলকারনাইন সায়ের, ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরও আলেপ নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে তাকে এসবি থেকে বদলি করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে পাঠানো হয়। কিন্তু ২০ অক্টোবর ২০২৪ একটি পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে এবং তাকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সায়ের আরও বলেন, আলেপের মতো অনেক অপরাধী এখনও বিভিন্ন বাহিনীতে সক্রিয় রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।