স্ত্রীর সামনেই যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

 

ছবি: সংগৃহীত

(ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নে পূর্বশত্রুতার জেরে দিনের বেলায় স্ত্রীর সামনে পিটিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনকে (৫০) হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়ন ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

গত শুক্রবার দুপুরে কুল্লা ইউনিয়নের মাখুলিয়া গ্রামের গ্রিন সিটি আবাসিক প্রকল্পের একটি ফাঁকা জায়গায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে রাতে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় মামলা করেন।

ধামরাই থানা পুলিশ জানায়, সাবেক ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করলে শনিবার মাখুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় কুল্লা ইউনিয়ন ও সিংগাইর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, "সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী শনিবার মামলা করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ১১ ও ১২ নম্বর আসামি অনিক ও শয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রোববার আদালতে পাঠানো হবে, আর বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।"

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকসিরনগর আবাসিক প্রকল্প শুরুর সময় জমি কেনা, মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে মালিকপক্ষের হয়ে কাজ করতেন কুল্লা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বাবুল হোসেন।

পরে তিনি জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধে স্থানীয়দের পক্ষে কাজ শুরু করেন। কিন্তু সম্প্রতি আবার প্রকল্পের মালিকপক্ষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় কিছু স্থানীয় ব্যক্তি তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বলেন, "আমার স্বামীকে আমার সামনেই হত্যা করা হয়েছে। তিনি মাঠে সরিষা মাড়াই করছিলেন, তখন ৫-৬ জন লোক টেঁটা, হাতুড়ি ও লোহার পাইপ নিয়ে এসে তাকে ধরে। তাকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে ও হাত-পা ভেঙে নির্মমভাবে হত্যা করে।"

তিনি আরও জানান, হামলাকারীদের মধ্যে আফসান, মনির, আরশাদ ও আরশাদের ছেলে ছাড়াও আরও দুজন ছিল।

এর আগে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আকসিরনগর প্রকল্পের একটি পুকুর থেকে নিহত বাবুলের বাবা ইদ্রিস আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল ধামরাই থানা পুলিশ।