রোববার (২৬ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরে বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করতে গিয়ে তাদের ৯ জন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে তিনজন মালাউইয়ের এবং একজন উরুগুয়ের সৈন্যও রয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ডিআর কঙ্গো এবং রুয়ান্ডার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করায় জাতিসংঘ গোমা থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। এই শহরে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ রক্তপাত এড়াতে কঙ্গোলিজ সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে।
ডিআর কঙ্গো রুয়ান্ডাকে বিদ্রোহে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ডিআর কঙ্গো এবং রুয়ান্ডার নেতাদের সঙ্গে পৃথক ফোনালাপে লড়াই বন্ধের আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, কঙ্গোর সীমান্তে রুয়ান্ডার সেনারা জড়ো হচ্ছে এবং যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গোপনে রুয়ান্ডার শত শত সেনা ইতোমধ্যে কঙ্গোতে প্রবেশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা গোমা শহর দখলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-কে সহায়তা করবে।
সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কঙ্গোর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক হবে। এর আগে রুয়ান্ডা ও বিদ্রোহীরা গোমা দখলের পরিকল্পনা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, কঙ্গোর ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রুয়ান্ডা সীমান্তে তাদের সেনা মোতায়েন করেছে। রুয়ান্ডার সিনিয়র সেনা কমান্ডাররা গিসেনি শহরে অবস্থান নিয়েছেন, যা গোমা থেকে মাত্র এক মাইল দূরে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালেও বিদ্রোহীরা গোমা শহর দখল করেছিল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিদ্রোহীরা সরে গেলেও এবার তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আগেই শহরটি দখলের পরিকল্পনা করছে।
%20(1).jpg)