রাজধানী ঢাকা ও সারাদেশে খুন, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গেল ছয় মাসে রাজধানীতে প্রায় ২৫০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একই সময়ে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭২-এ।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেশিরভাগ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে রাতের আঁধারে। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, বেকারত্ব বৃদ্ধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনসাধারণের অনাস্থাই অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে রাজধানীর আদাবর শেখেরটেক এলাকার ৭ নম্বর রোডে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন যুবক রাসেল। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই তার ভাই বিজয় একইভাবে হামলার শিকার হন দুর্বৃত্তদের হাতে।
এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাভিশনের ক্যামেরা পৌঁছে যায় মোহাম্মদপুর শেখেরটেক এলাকায়। ভুক্তভোগী রাসেল ও বিজয়ের ভাষ্যমতে, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে তাদের ওপর হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাত নামতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় হয়ে ওঠে সশস্ত্র অপরাধীরা, চালায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গেল ছয় মাসে রাজধানীতে খুনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জানুয়ারি ও আগস্ট মাসে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, আর ডাকাতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরীর মতে, দেশে অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে বেকারত্ব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার অভাব অন্যতম বড় কারণ।
তবে, পুলিশ দাবি করছে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে টহল জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও সচেতন হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
%20(2).png)