ফাইল ছবি
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, পলাতক স্বৈরশাসক মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছেন। নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকেও অকার্যকর করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংশোধনসহ বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে। এই বিষয়ে বিএনপির কোনো মৌলিক আপত্তি নেই, যদিও কিছু প্রক্রিয়াগত বিষয়ের ওপর আলাদা মতামত থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোর পক্ষেই রয়েছে।
দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের সংসার চালানো। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তারেক রহমান প্রশ্ন তোলেন, কেন এই সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি দেওয়া বর্তমান সরকারের জন্য কোনো কঠিন কাজ নয়।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কেউ দল গঠন করতে চাইলে বিএনপি তাকে স্বাগত জানায়। তবে এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক সহায়তা নেওয়া হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি ঝগড়াসুলভ বা প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হলে জনগণ তা প্রত্যাশা করে না।
তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারাই দেশের ভবিষ্যৎ এবং নেতৃত্ব দেবে। তবে এই নেতৃত্ব যেন প্রশ্নবিদ্ধ পথে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণ যদি বৃহত্তর স্বার্থে সরকারের সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে পারে, তাহলে সরকারকেও ধৈর্যশীল হতে হবে। বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
