ছবি : সংগ্রহিত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্রের ঘোষণা অনুসারে, আগামী ৩১ জানুয়ারি শাবান মাসের সূচনা হবে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তাদের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গণনা অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি রজব মাসের ২৯তম দিন হলেও সূর্যাস্তের আগেই চাঁদ অস্ত যাবে। এ কারণে ঐ দিন বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে শাবানের চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। ফলস্বরূপ, রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ করে ৩১ জানুয়ারি শাবানের প্রথম দিন ধরা হবে।
সংস্থাটির মতে, ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকা ও বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে খালি চোখে চাঁদ দৃশ্যমান হবে। এদিন ২৯ রজব পালনকারী দেশগুলোতেও শাবান মাসের গণনা ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। এর মধ্যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান, মরক্কো, ক্যামেরুন ও আলবেনিয়া উল্লেখযোগ্য। তবে রমজান মাসের সূচনা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
ইসলামিক ঐতিহ্য অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের ২৯তম দিনে রমজানের চাঁদ তালাশ করতেন এবং সাহাবিদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিতেন। রমজানের নতুন চাঁদ দেখা গেলে তিনি বরকতের বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। শাবান শেষে রমজানের প্রাক্কালে মুমিনদের জন্য আত্মিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী (সা.) রজব ও শাবান জুড়ে নফল ইবাদত ও রোজার মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতেন। রজবের চাঁদ উঠলেই তিনি রমজানের প্রত্যাশায় দৈনন্দিন ব্যস্ততা কমিয়ে ইবাদতে মগ্ন হতেন।
হযরত আনাস (রা.) এর বর্ণনামতে, রজবের চাঁদ দেখা গেলে নবীজি (সা.) আবেগিকভাবে এই দোয়া করতেন: “আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান”—অর্থাৎ, “হে আল্লাহ! রজব ও শাবানকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান পর্যন্ত আমাদের জীবনসীমা পৌঁছে দিন।” (সুনানে নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদ)
এই মাসগুলোতে নবীজির সুন্নত অনুসরণ করে মুসলিমদের উচিত রমজানের রহমতের জন্য আধ্যাত্মিক ও শারীরিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করা। চাঁদ দেখা সংক্রান্ত জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব ও ধর্মীয় রীতি উভয়ই এ ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব বহন করে।
.webp)